যারা নিয়মিত এই লেখা ধারাবাহিক ভাবে পড়ছেন তারা দেখেছেন এর আগে চাঁদ - পৃথিবীর দুরত্ব, pi এর মান, এমন কী পিথাগোরাস এর সূত্র যে বেদ থেকে নেওয়া সেই কথা লিখেছি এবং সমস্ত প্রমাণ সমেত। অনেকেই হয়তো শুনেছেন যে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব হনুমান চালিশা তে দেওয়া আছে -
" যুগ সহস্র যোজন পরভানু"
যুগ - ১২০০০ বছর
সহস্র - ১০০০
যোজন - ৮ মাইল
যুগ * সহস্র * যোজন = ১২০০০ * ১০০০ * ৮ = ৯৬০০০০০০ মাইল
১ মাইল = ১.৬ কিলোমিটার
৯৬০০০০০০ * ১.৬ = ১৫৩৬০০০০০০ কিলোমিটার
যা এখন সায়েন্স বলছে তার একদম সিমিলার।
এবার আসি পরবর্তী প্রসঙ্গে....
শুধু ঋগবেদ এর সমস্ত পার্ট এবং আনুষঙ্গিক গ্রন্থ যদি রাখা যায় তাহলে একটা গোটা বুক সেলফ ভর্তি হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আলোচনা করবার জন্য আমি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর একটি বই "ঋগ্বেদাদিভাষ্যভূমিকা" থেকে কিছু তথ্য তুলে ধরছি যা বেদের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে এবং বেদের মন্ত্র ও তার ভাবার্থ সেখানে হিন্দি ভাষায় লেখা আছে। প্রথম শ্লোকে লেখা আছে যান বাহন কিসের জন্যে প্রয়োজন, দ্বিতীয় শ্লোকে আছে পৃথিবীতে মানে ভূমিতে গতিবেগে চলার জন্যে যান কিভাবে তৈরি করতে হবে, তৃতীয় শ্লোকে আছে জলে বা সমুদ্রে গতিবেগে যাবার জন্যে যান কিভাবে তৈরি করতে হবে এমনকি স্পীড বোট এর জন্যে ফুয়েল কিভাবে দিলে গতিবেগে চলবে তার ধারণাও রয়েছে। এই চতুর্থ শ্লোকে বিমান কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং কিভাবে ফুয়েল সিস্টেম চলবে তার সাধারণ ধারণা দেওয়া আছে। সাধারণ ধারণা কারণ এটি মাত্র চতুর্থ শ্লোক। বিস্তারিত মূল গ্রন্থ এবং তার আনুষঙ্গিক গ্রন্থে দেওয়া আছে তার উল্লেখও এখানে রয়েছে। এবার আপনারা একবার শ্লোক এবং তার ভাবার্থ পড়ে দেখুন... ছবিতে দিলাম....
যে শ্লোকের কথা এখানে লেখা আছে সেটি এই গ্রন্থের এই অধ্যায়ের মাত্র ৪ নং শ্লোক। এই বেদের ওপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছিল বৈমানিক শাস্ত্র যা বেদের একটি আনুষঙ্গিক শাস্ত্র।
No comments:
Post a Comment