Thursday, 28 September 2023

বেদের পুনরুদ্ধার ( পার্ট - ৪ )

বেদের পুনরুদ্ধার (পার্ট - ৪)

যারা নিয়মিত এই লেখা ধারাবাহিক ভাবে পড়ছেন তারা দেখেছেন এর আগে চাঁদ - পৃথিবীর দুরত্ব, pi এর মান, এমন কী পিথাগোরাস এর সূত্র যে বেদ থেকে নেওয়া সেই কথা লিখেছি এবং সমস্ত প্রমাণ সমেত। অনেকেই হয়তো শুনেছেন যে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব হনুমান চালিশা তে দেওয়া আছে - 

" যুগ সহস্র যোজন পরভানু"

যুগ - ১২০০০ বছর
সহস্র - ১০০০
যোজন - ৮ মাইল

যুগ * সহস্র * যোজন = ১২০০০ * ১০০০ * ৮ = ৯৬০০০০০০ মাইল

১ মাইল = ১.৬ কিলোমিটার

৯৬০০০০০০ * ১.৬ = ১৫৩৬০০০০০০ কিলোমিটার

যা এখন সায়েন্স বলছে তার একদম সিমিলার।

এবার আসি পরবর্তী প্রসঙ্গে....

শুধু ঋগবেদ এর সমস্ত পার্ট এবং আনুষঙ্গিক গ্রন্থ যদি রাখা যায় তাহলে একটা গোটা বুক সেলফ ভর্তি হয়ে যাবে। এ বিষয়ে আলোচনা করবার জন্য আমি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর একটি বই "ঋগ্বেদাদিভাষ্যভূমিকা" থেকে কিছু তথ্য তুলে ধরছি যা বেদের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে এবং বেদের মন্ত্র ও তার ভাবার্থ সেখানে হিন্দি ভাষায় লেখা আছে। প্রথম শ্লোকে লেখা আছে যান বাহন কিসের জন্যে প্রয়োজন, দ্বিতীয় শ্লোকে আছে পৃথিবীতে মানে ভূমিতে গতিবেগে চলার জন্যে যান কিভাবে তৈরি করতে হবে, তৃতীয় শ্লোকে আছে জলে বা সমুদ্রে গতিবেগে যাবার জন্যে যান কিভাবে তৈরি করতে হবে এমনকি স্পীড বোট এর জন্যে ফুয়েল কিভাবে দিলে গতিবেগে চলবে তার ধারণাও রয়েছে। এই চতুর্থ শ্লোকে বিমান কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং কিভাবে ফুয়েল সিস্টেম চলবে তার সাধারণ ধারণা দেওয়া আছে। সাধারণ ধারণা কারণ এটি মাত্র চতুর্থ শ্লোক। বিস্তারিত মূল গ্রন্থ এবং তার আনুষঙ্গিক গ্রন্থে দেওয়া আছে তার উল্লেখও এখানে রয়েছে। এবার আপনারা একবার শ্লোক এবং তার ভাবার্থ পড়ে দেখুন... ছবিতে দিলাম....

যে শ্লোকের কথা এখানে লেখা আছে সেটি এই গ্রন্থের এই অধ্যায়ের মাত্র ৪ নং শ্লোক। এই বেদের ওপর ভিত্তি করেই লেখা হয়েছিল বৈমানিক শাস্ত্র যা বেদের একটি আনুষঙ্গিক শাস্ত্র।

© প্রভাত ঘোষ 

Sunday, 10 September 2023

বেদের পুনরুদ্ধার (পার্ট - ৩)

বেদের পুনরুদ্ধার (পার্ট - ৩)

আগের এপিসোডে বেদের একটি শ্লোকের বিশ্লেষণ এবং তার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিয়েছি যা মডার্ন সায়েন্স কয়েক বছর আগেই ধারণা এবং প্রমাণ করেছে। White hole এর ধারণা আছে কিন্তু এখনও সেরকম ভাবে প্রমাণ হয়নি। আজকের এপিসোডে আমরা একটু Science এবং বেদের history নিয়ে আলোচনা করা যাক পরবর্তী এপিসোডে আবার অন্য শ্লোকের সায়েন্টিফিক বিশ্লেষণ করব।

পৃথিবী যে গোলাকার সেটাও কিন্তু বেদ এবং বেদাঙ্গের বিভিন্ন শ্লোকে পাওয়া যায়। সেই সব শ্লোকে আসছি আস্তে আস্তে, তার আগে দেখে নিই উইকিপিডিয়া কী বলছে -

Spherical Earth :

History of concept and measurement :

The spherical shape of the Earth was known and measured by astronomers, mathematicians, and navigators from a variety of literate ancient cultures, including the Hellenic World, and Ancient India. Greek ethnographer Megasthenes, c. 300 BC, has been interpreted as stating that the contemporary Brahmans of India believed in a spherical Earth as the center of the universe.[11] The knowledge of the Greeks was inherited by Ancient Rome, and Christian and Islamic realms in the Middle Ages. Circumnavigation of the world in the Age of Discovery provided direct evidence. Improvements in transportation and other technologies refined estimations of the size of the Earth, and helped spread knowledge of it.

উইকিপিডিয়াও বলছে একই কথা. গ্রীক জ্যোতির্বিজ্ঞানী মেগাস্থিনিস ভারতে এসে এই সব তথ্য কে Interprete অর্থাৎ অনুবাদ এবং ব্যাখ্যা করেছিলেন।

মেগাস্থিনিস ভারতে আসেন 300 B.C তে। গ্রীক জ্যোতির্বিজ্ঞানী Aristarchus of Samos প্রথম নির্ণয় করেন সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব। যার জীবনকাল হল 310 B.C থেকে 230 B.C।
এবারে আসি "সূর্য সিদ্ধান্ত" যা বেদাঙ্গের একটি অংশ৷ এই সূর্য সিদ্ধান্ত আসলে "অথর্ববেদের" এর ওপর গবেষণা করে লেখা৷

উইকিপিডিয়াও একই কথা বলছে —

Vedic influence

The Surya Siddhanta is a text on astronomy and time keeping, an idea that appears much earlier as the field of Jyotisha(Vedanga) of the Vedic period. The field of Jyotisha deals with ascertaining time, particularly forecasting auspicious dates and times for Vedic rituals.[25]Vedic sacrificesstate that the ancient Vedic texts describe four measures of time – savana, solar, lunar and sidereal, as well as twenty seven constellations using Taras(stars).[26]According to mathematician and classicist David Pingree, in the Hindu text Atharvaveda(~1000 BCE or older) the idea already appears of twenty eight constellations and movement of astronomical bodies.[15]

মহান গণিতজ্ঞ এবং জ্যোতির্বিদ আর্যভট্ট এই গ্রন্থে কী কী লিখেছেন তার এক ঝলক দেখা যাক। এই গ্রন্থের একটি মাত্র শ্লোকের বর্ণনা সমেত একটি ছবি দিলাম যেখানে পৃথিবীর পরিধি, তার ব্যাস এবং কোনো গ্রহের আপেক্ষিক অবস্থান কিভাবে নির্ণয় করতে হয় তার ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। এছাড়াও pi এর মান, pythagorus এর সূত্র বলে আমরা যাকে জানি তার আগে সূর্য সিদ্ধান্ত গ্রন্থে তার উল্লেখ আছে। zero এর আবিস্কার বহুকাল আগেই হয়েছে যার উল্লেখ অথর্ববেদ এ রয়েছে। আস্তে আস্তে সেই সব সূত্র এবং তার অর্থ সবই আমার লেখায় উল্লেখ করব। তার মানে পৃথিবী যে গোল তার উল্লেখ অথর্ববেদ এ অলরেডি ছিল। কারণ গোল না হলে তার ব্যাস, পরিধির পরিমাপ কিভাবে থাকবে?

আপনাদের আরো জানিয়ে রাখি যে ISRO Chief সোমনাথ স্যার এই সূর্য সিদ্ধান্ত গ্রন্থের কথাই তার বক্তৃতায় বলেছিলেন। যারা অরিজিনাল স্পীচ শোনেননি তারা youtube এ গিয়ে শুনে নিতে পারেন।

1653 সালে Christiaan Huygens প্রথম বলেন পৃথিবী থেকে সূর্যের দুরত্ব। যেখানে হনুমান চালিসা তে অলরেডি সেই দুরত্ব বলা আছে এবং যার রচনা কাল হল 1532 - 1623 এই সালের মধ্যে।

 এবারে আসি সনাতন সংস্কৃতির জ্যোতিষ বিদ্যা সম্পর্কে -

জ্যোতিষ বিদ্যা বা জ্যোতিষ শাস্ত্র বেদ এর সমসাময়িক যার উৎপত্তি সম্বন্ধে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই যদিও মহর্ষি পরাশরকে জ্যোতিষ বিদ্যার প্রথম লেখক বলে ধরা হয় এবং প্রথম বিষ্ণু পুরাণ তিনিই লেখেন। আমি এখানে লেখার কথা বলছি যেখানে বেদ তারও বহুকাল আগে থেকেই শ্রুতি হিসেবে ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রচলিত ছিল। মহর্ষি পরাশর আনুমানিক 3000 B. C এর সময়কালে "बृहत् पराशर होरा शास्त्र " এই শাস্ত্র টি লিখেছিলেন যা আমরা এখন জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে জানি। 

আদিকাল থেকেই সনাতন ধর্মে জ্যোতিষ শাস্ত্র এবং পঞ্জিকার প্রচলন আছে এবং সেখানে প্রতিদিন কোন সময় সমুদ্রে জোয়ার - ভাটা হবে, কবে কোন সময় সূর্য গ্রহণ - চন্দ্র গ্রহণ হবে এবং কোন সময় কোন গ্রহ এবং কোন নক্ষত্রের অবস্থান কোথায় হবে তার বিস্তৃত বর্ণনা দেওয়া থাকে। সেই Calculation আজ থেকে প্রায় ৫০০০ বছর আগের লেখা এবং সেই Calculation অনুযায়ী এখনও পঞ্জিকায় দেখতে পাবেন প্রতিদিন কোন সময় জোয়ার - ভাটা হয় এবং কোন দিন কোন সময় সূর্য গ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণ হবে। 

এবারে একটু প্রাক্টিক্যালি চিন্তা করে দেখুন কতবড় Mathematician বা Astronomy সম্বন্ধে কী রকম রিসার্চ সেই সময় হতো। 

পরবর্তী এপিসোডে আরো নতুন কিছু তথ্য প্রমাণ সমেত নিয়ে আসবো অবশ্যই.... তার আগে "সূর্য সিদ্ধান্ত" গ্রন্থের একটি শ্লোকের বিশ্লেষণ যার ছবি আপনাদের দিলাম....

(চলবে...)

© প্রভাত ঘোষ

Saturday, 2 September 2023

বেদের পুনরুদ্ধার ( পার্ট ২ )

বেদের পুনরুদ্ধার (২)

ঔঁ = সচ্চিদানন্দঘন বলে ব্যাখ্যা করা হয় এবং সমস্ত কিছু অর্থাৎ এই জগতের এবং ব্রহ্মাণ্ডের উৎস বলে মান্য করা হয়। কিন্তু কেন? এর পেছনে কি যুক্তি থাকতে পারে?

এই আলোচনার আগে আরো কিছু জিনিস স্পষ্ট ভাবে বলা যাক... এখনকার বিজ্ঞানীরা যা কিছু আবিস্কার করছেন তা কিন্তু প্রথম থেকে বিদ্যমান। মানে Discover করছেন এই মহাকাশ এর সমস্ত কিছুই। এটাকে invent বলা যাবে না। সেরকমই এই সমস্ত শ্লোকের মূল ভাব আমাদের খুঁজে বের করতে হবে কারণ সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণ এর প্রথম লেখক বলে আমরা যাকে জানি তিনি হলেন পাণিনি। সেই পাণিনি ই তার অস্টাধ্যাই গ্রন্থে লিখেছেন যে সংস্কৃত ব্যাকরণ এক সমুদ্রের সমান যা কেবলমাত্র  "ऐंद्र व्याकरण" বা বাংলায় বললে "ইন্দ্র ব্যাকরণ" এ পাওয়া যায়। তার কাছে পাণিনির ব্যাকরণ একটি গরুর ক্ষুরের সমান। এই সম্বন্ধে একটি শ্লোক এর Full Information দেয়....

নিচে যে ব্যাকরণ বইয়ের ভূমিকার পৃষ্ঠাটি দিলাম সেখানে লেখা আছে যে পাণিনি নিজেই তার গ্রন্থে লিখেছিলেন -

" ঋকবেদ অনুযায়ী সংস্কৃত ভাষার ব্যাকরণের প্রথম প্রবক্তা ছিলেন ব্রহ্মা। ব্রহ্মা সেই জ্ঞান দেন বৃহস্পতিকে। বৃহস্পতি দেন ইন্দ্রকে এবং ইন্দ্র দেন ভরদ্বাজ কে এবং তার পর ঋষিদের কাছে সেই জ্ঞান পৌঁছায়। তার অনেক পরে পাণিনি এই ব্যাকরণ লিখেছিলেন। "

শ্লোক -

यान्युज्जहार माहेन्द्रात् व्यासो व्याकरणार्णवात् । पदरत्नानि किं तानि सन्ति पाणिनिगोष्पदे ।।

অর্থাৎ ব্যাসমুনি যে পদগুলি ব্যবহার করেছেন তা ইন্দ্র ব্যাকরণে রয়েছে। এগুলো পাণিনির ব্যাকরণে নেই। এতে ইন্দ্র ব্যাকরণকে সমুদ্র বলা হয়েছে এবং তার তুলনায় পাণিনি ব্যাকরণকে গরুর খুরের মতো ছোট বলা হয়েছে। এটি দেববোধের অতিরঞ্জন হতে পারে, তবে এর থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে পাণিনির আগে ঐন্দ্র ব্যাকরণ ছিল যা বিশাল ছিল।

তার মানে এই দাড়ালো যে ইন্দ্র বা ভরদ্বাজ এর যে ব্যাকরণ সেটা আমাদের কাছে এখন কোনোভাবেই উপলব্ধ নেই। তাও আমরা চেষ্টা করি যা কিছু উপলব্ধ আছে বা আরো ভালোভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে এখনও যা কিছু অবশিষ্ট আছে সেই সীমিত জ্ঞান দিয়েই আমরা এই সমস্ত শ্লোকের পাঠোদ্ধারের চেষ্টা করছি। এটাও এক প্রকার Discover করাই বলা যায়।

মূল শ্লোকে আসার আগে কিছু শব্দের সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুযায়ী সঠিক অর্থ এবং সমাস জানাও দরকার যে শব্দগুলো এর পরে লেখার মধ্যে বার বার আসবে... যাদের কাছে পাণিনির সংস্কৃত ব্যাকরণ বই আছে তারা দেখতে পারেন অথবা নিচে দেওয়া লিংকের সাহায্যে হয়তো কিছুটা সাহায্য পেতে পারেন...

https://sa.m.wiktionary.org/wiki/%E0%A4%AE%E0%A5%81%E0%A4%96%E0%A5%8D%E0%A4%AF%E0%A4%AA%E0%A5%83%E0%A4%B7%E0%A5%8D%E0%A4%A0%E0%A4%AE%E0%A5%8D

যেমন -
১) নিরাকার শব্দের প্রকৃত অর্থ —

যা থেকে কোনো আকার নির্গত হয় বা কোনো আকারের সৃষ্টি হয়।

निराकारः, पुं, (निर्गत आकारो देहादिदृश्य- स्वरूपं यस्मादिति । निरादय इति समासः ।)

 ২) ঔঁ —

ॐ > ब्रह्मन्

ब्रह्मन् पुं।

ब्रह्मा

समानार्थक:ब्रह्मन्,आत्मभू,सुरज्येष्ठ,परमेष्ठिन्,पितामह,हिरण्यगर्भ,लोकेश,स्वयम्भू,चतुरानन,धातृ,अब्जयोनि,द्रुहिण,विरिञ्चि,कमलासन,स्रष्टृ,प्रजापति,वेधस्,विधातृ,विश्वसृज्,विधि,नाभिजन्मन्,अण्डज,पूर्व,निधन,कमलोद्भव,सदानन्द,रजोमूर्तिन्,सत्यक,हंसवाहन,क,आत्मन्,शम्भु

আপাতত এই দুটোই লিখলাম, পরে প্রয়োজন অনুসারে আবার লিখবো...

এবার আসি মূল শ্লোকে যেটা আগের পর্বে দিয়েছিলাম-

ঔঁ — বিস্বসৃজঃ — অর্থাৎ যা থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে
অদঃ — সেই পরব্রহ্ম
পূর্ণম্ — সর্বপ্রকারে পূর্ণ
ইদম্ — এই জগৎও
পূর্ণম — পূর্ণ'ই, 
(কারণ)
পূর্ণাৎ — সেই পূর্ণ পরব্রহ্ম হতেই
পূর্ণম্ — এই পূর্ণ
উদচ্যতে — উৎপন্ন হয়েছে
পূর্ণস্য — পূর্ণের 
পূর্ণম্ — পূর্ণকে 
আদায় — নিয়ে নিলেও অর্থাৎ বাদ দিলেও
পূর্ণম্ — পূর্ণ
এব — ই
অবশিষ্যতে — অবশিষ্ট থাকে

এবারে আমরা যদি এটাকে মহাবিশ্বের সায়েন্টিফিক বিশ্লেষণ করি বা বোঝার চেষ্টা করি তাহলে আমাদের Black Hole আর White Hole theory এর ব্যাপারে জানতে হবে।
আমরা অনেকেই Black hole এর ব্যাপারটা জানি কিন্তু white hole খুব কম লোকই জানে। 

" শ্বেত বিবর বা White Hole হল Black Hole বা কৃষ্ণ বিবরের বিপরীত ঘটনা। কৃষ্ণ বিবর সবকিছু নিজের মধ্যে শোষণ করে নেয়, আর শ্বেত বিবর সবকিছু বাইরে বের করে দেয়। এজন্য এটি খুব উজ্জ্বল।"

তাহলে যদি বলা যায় এই মহাবিশ্ব কোনো white hole থেকে তৈরি হয়েছে এবং শেষ হবে black hole এ গিয়ে। এর পর পুরো শ্লোকের মানে বোঝার চেষ্টা করে দেখুন হয়তো কিছুটা বুঝতে পারবেন। 

অণু - পরমাণুর ব্যাপারটাও কিছুটা আঁচ করা যাচ্ছে কি? পৃথিবীতে এবং মহাবিশ্বে কোনোকিছুই পার্মানেন্ট নয়। যে কোনো জড়ো পদার্থ  তার ভৌতিক পরিবর্তন এবং রাসায়নিক পরিবর্তন এর ব্যাপারটা কি কিছুটা ধারণা করা যাচ্ছে? যার শুধুমাত্র রূপান্তর হয়, সম্পূর্ণ বিনাশ হয় না অর্থাৎ Zero হয়ে যায় না। কোনো না কোনো প্রকারে এই মহাবিশ্বে থেকেই যায়... আলোচনা চলুক.. মতামতও প্রয়োজন...

এবারে ভাবুন ঈশ্বরকে কেন নিরাকার বলা হয়... আর প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থা কতটা উন্নত হলে এমন শ্লোক লিখে এই সমস্তটা বর্ণনা করা যায় একটা মাত্র শ্লোকে.... এরকম উদাহরণ একটা নয় হাজার হাজার আছে ঋকবেদে।

পরবর্তী পর্বে আরো নতুন কোনো শ্লোক এর সায়েন্টিফিক বিশ্লেষণ এবং আলোচনা নিয়ে আসব... 

যারা প্রথম পর্ব পড়েননি তাদের জন্যে লিংক কমেন্টে এ রইল...

© প্রভাত ঘোষ

বেদের পুনরুদ্ধার ( পার্ট - ৪ )

বেদের পুনরুদ্ধার (পার্ট - ৪) যারা নিয়মিত এই লেখা ধারাবাহিক ভাবে পড়ছেন তারা দেখেছেন এর আগে চাঁদ - পৃথিবীর দুরত্ব, pi এর মান, এমন কী পিথাগোর...