বেদের পুনরুদ্ধার - ( পার্ট ১ )
অনেকেই ইসরো চেয়ারম্যান সোমনাথ স্যারের বক্তব্যের এবং মতামতের সঙ্গে একমত নন। যদিও এই বিরোধিতার কোনো প্রমাণ তাদের কাছে নেই। একজন নয় ভারত ছাড়াও নাসার বহু বিজ্ঞানীরাও যেখানে বেদের প্রসঙ্গে বলেছেন এবং তারাও মনে করেন এরকম অনেক কিছু আছে যা নাকি অলরেডি বেদে উল্লেখ করা আছে কিন্তু আমাদের অজ্ঞানতার কারণেই আমরা সেই সমস্ত ভাব বুঝতে অক্ষম। তবে এরকম অনেক ধারণাই আছে যা অনেক আগে বেদ, পুরাণ এবং সনাতন ধর্মের বহু গ্রন্থে উল্লেখ আছে। এই বিষয়ে একটু ডিটেইল আলোচনা করা যাক। আশাকরি একটা Healthy Discussion করা যাবে এবং সকলেই নিজস্ব মতামত রাখতে পারেন।
১) এই ধরনের কথা হয়তো আগেও শুনেছেন যে রাইট ব্রাদার্স এর আগেও যে মানুষ উড়তে সক্ষম কোনো যানের ধারণা ভারতবর্ষের মানুষের ছিল আর সেটাও হাজার হাজার বছর আগে থেকেই। সেটা যারা রামায়ণ পড়েছেন বা শুনেছেন তারা জানেন।
আমার প্রশ্ন হলো কোনো ধারণা কিভাবে তৈরি হয়? আর ঋষি ভরৎদ্বাজ যে বৈমানিক শাস্ত্র লিখেছিলেন সেটারও কিছু প্রমাণ এখনও আছে। যদিও অনেকে আবার বলেন এটা নাকি কোনো ষড়যন্ত্র, রাইট ব্রাদার্স এর আগে নাকি জানা যায়নি এই গ্রন্থের কথা। কিন্তু ঋষি ভরদ্বাজ যে কত হাজার বছর আগে লিখেছিলেন তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে যদি একটু তলিয়ে দেখা যায়... সনাতন ধর্মে ভরদ্বাজ নামে একটি গোত্র আছে এবং যারা জানেন গোত্র কিভাবে তৈরি হয়েছিল এবং তার ইতিহাস যারা জানেন তারা বুঝতে পারবেন যে ঋষি ভরদ্বাজ কোন সময়ে এবং কতদিন আগে এই লেখা লিখে থাকতে পারেন। যেখানে ইতিমধ্যে নালন্দা এবং তক্ষশীলা মহাবিদ্যালয় প্ল্যান করে ধ্বংস করা হয়েছিল।
এ তো গেল সবার জানা কিছু তর্ক বিতর্কের কথা... এর আগেও অনেকবার এই নিয়ে ডিটেইল লেখা নিয়ে আসব আসব করেও লেখা হয়ে ওঠেনি নিজস্ব কাজের পরে সময় করে না উঠতে পারার জন্যে... আবার কিছু লিখলেও আবার অনেক জ্ঞানী মানুষ খিল্লি তে নেমে আসেন আর আমি নিজেকে তাদের জায়গায় নামাতে পারিনা বলে ইগনোর করে যাই... তাও এবারে চেষ্টা করছি পার্ট পার্ট করে কিছু প্রমাণ সমেত কিছু লিখবার... এবার আসি এই সিরিজের মূল কথায়....
যারা Jhinuk Saha র বেদ সম্বন্ধে লেখা পড়েছেন তারা হয়তো কিছুটা জানেন যে বেদ যে আসলে ৪ প্রকার তা কিন্তু ঋক, সাম, যযু, অথর্ব নয় এগুলো সংহিতার অংশ। আসলে বেদ ৪ প্রকার - সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক এবং উপনিষদ বা বেদান্ত। উপনিষদে আসলে বেদের সার সংক্ষেপ লেখা আছে। মোট ১০৮ টি উপনিষদ থাকলেও ভারতের মহান দার্শনিক আদি শঙ্করাচার্য ১১টি উপনিষদকে ‘মুখ্য উপনিষদ’ হিসেবে বেছে দিয়ে গিয়েছিলেন।
তার মধ্যে প্রথমটি হলো "ঈশ উপনিষদ" বা "ঈশাবাস্যোপনিষদ"৷ যার প্রথম শ্লোক বলে জগতের উৎপত্তি সম্বন্ধে। আমি হাতে টাইপ করে সময় নষ্ট করব না কারণ বইটি আমার কাছেই আছে তাই ছবি তুলেই দিচ্ছি...
আজ শুধু এটুকুই লিখছি পরের এপিসোডে এর ব্যাখ্যা এবং এর পেছনে যে Science আছে তা বিস্তারিত আলোচনা করব... ততক্ষন আপনারা এই মূল শ্লোকের অর্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করে দেখুন....
তবে বি: দ্রঃ - শুধুমাত্র এখানে যা বাংলায় লেখা আছে সেটিকেই যথার্থ ধরে এগোবেন না। সংস্কৃত ভাষায় শ্লোকের মূল ভাবার্থ বোঝার চেষ্টা করুন....
© প্রভাত ঘোষ